সাংবাদিক কাজী সোহাগকে পুলিশে তলবের ঘটনায় বিভিন্ন মহলের নিন্দা


mdiganta প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২, ২০২৪, ১১:০৪ অপরাহ্ন /
সাংবাদিক কাজী সোহাগকে পুলিশে তলবের ঘটনায় বিভিন্ন মহলের নিন্দা

মেহেরপুর দিগন্ত : ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য মুহা: আফিফুজ্জামানকে

(কাজী সোহাগ) সংবাদ প্রকাশের জেরে তলবের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ডিআরইউসহ বিভিন্ন মহল।

আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম এন্ড অপস) মো. নাজিম উদ্দিন আল আজাদ কর্তৃক কাজী সোহাগকে হাজির হওয়ার নোটিশ দেয়ার ঘটনায় এ নিন্দা জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে পুলিশ প্রশাসন কোনো সাংবাদিককে এভাবে তলব করতে পারে না। তারা কর্তৃপক্ষ বা আদালত নন। এটি অগ্রহণযোগ্য। সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে হবে।

জানা যায়,চোরাই স্বর্ণের বার ছিনতাইয়ের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে” এই শিরোনামে গত ২২ ফেব্রুয়ারি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় একটি রিপোর্ট করেন সিনিয়র রিপাের্টার কাজী সোহাগ। এর প্রেক্ষিতে তাকে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এর কার্যালয়ে ৩ এপ্রিল হাজির হতে একটি নোটিশ দেয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম এন্ড অপস) মো. নাজিম উদ্দিন আল আজাদ।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে বর্ণিত ঘটনার সত্যতা যাচাই ও অনুসন্ধানের জন্য স্বাক্ষীকে(কাজী সোহাগ) চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম এন্ড অপস) মো. নাজিম উদ্দিন আল আজাদ এর কার্যালয়ে হাজির করার অনুরোধ করা হলো।

কাজী সোহাগ জানিয়েছেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতেই এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। পুলিশের দেয়া চিঠির ভাষা মার্জিত মনে হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা পুলিশ এভাবে চিঠি দিতে পারে না। এটা স্রেফ হয়রানি বলে মনে করি।

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ বলেন, কোনো সাংবাদিক তার প্রতিবেদনের সোর্স প্রকাশে বাধ্য নন। ২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। সাংবাদিককে তার সংবাদের উৎস (সোর্স) প্রকাশ না করার ক্ষেত্রে আইন সুরক্ষা দিয়েছে বলে মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ ৫১ পাতার রায়ে এ পর্যবেক্ষণ দেন।